রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

শর্তবিহীন ফেরত যাওয়ার মতো একজন রোহিঙ্গাও পাওয়া যায়নি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন কক্সবাজারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

তরফ নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেওয়া শর্ত পূরণ না হলে তাঁদের একজনও স্বদেশে ফিরতে চান না। আজ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শর্তবিহীনভাবে মিয়ানমারের রাখাইনে ফেরত যাওয়ার মতো একজনকেও পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, শর্ত পূরণ না হলে রোহিঙ্গাদের একজনও স্বদেশে ফিরতে চান না।

প্রত্যাবাসনের তৎপরতা শুরু হলে মিয়ানমারে নাগরিকত্ব, স্বাধীনভাবে চলার নিরাপত্তা, ফেলে আসা সম্পত্তি ফেরত ও নিরাপত্তা নজরদারির শর্ত দিয়েছিলেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহকারীর কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ আবুল কালাম। এ সময় চীনা প্রতিনিধিদলের দুজন সদস্য ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা ছিলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আবুল কালাম বলেন, মিয়ানমার থেকে ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গার নামের তালিকা বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৯৫ পরিবারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শর্তবিহীনভাবে স্বদেশে ফেরত যাওয়ার মতো একজনকেও পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার জন্য আজ যে নির্ধারিত সময় ছিল, তাতে সরকার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। কোনো রোহিঙ্গা নাগরিক যদি বিনা শর্তে দেশে যেতে চান, তাহলে তাঁদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। আজও তাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি চলমান।

আবুল কালাম আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রথম থেকে বলে আসছিল, কোনো রোহিঙ্গা নাগরিককে জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো হবে না। তাই আজও তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ চলছে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম প্রতিনিধিদলের তিনজনসহ শালবাগান শরণার্থীশিবিরে আসেন। এ সময় তাঁরা প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা ঠিক হয়েছিল। রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় সেবার একজনকেও রাখাইনে পাঠানো যায়নি। আজও কেউ রাখাইনে যেতে না চাওয়ায় এ নিয়ে দুই দফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চেষ্টা দৃশ্যত ব্যর্থ হতে যাচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com